হোতা সাইফুল ও হাফিজ।।।
পাটুরাঘাট হইতে গুলিস্তান পর্যন্ত যত গাড়ি চলে প্রত্যেকটি গাড়িতে চাঁদা উত্তোলন করেন মানিকগঞ্জ থেকে জাফর ও তার সহকর্মীরা।।
তথ্য ভিডিও চিত্রে, নিজস্ব প্রতিবেদক।।
মানিকগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রত্যেকটি পরিবহন থেকে চাঁদা উত্তোলন করেন এক শ্রেণীর চাঁদাবাজরা। ৫ই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর বৈষম্য দূর করার কথা থাকলেও দিন দিন বৈষম্য তৈরি হচ্ছে চাঁদাবাজ পূর্বের তুলনায় দ্বিগুণ করা হচ্ছে আর এর পিছনে কে বা কারা কাজ করছেন সেটাই দেখার বিষয়।
পরিবহন মালিক দের সাথে কথা বললে জানা যায় রাস্তায় যে পরিমাণ জিপি নামক চাঁদা আদায় করেন স্থানীয় নেতা নামক মানুষরুপি জানোয়াররা তাতে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত।
অথচ চাঁদাবাজি চলছে পাটুরিয়া ঘাট মানিকগঞ্জ নবীনগর গাবতলী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগায়। বারবার চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণ সোচ্চার হলেও কিছুদিন থেমে থাকে তারপর আবার শুরু করেন তাদের চাঁদাবাজি এর কারণ ও উৎস কোথায় জানা যাক তাহলে। মানিকগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে শ্রমিক নাম ব্যবহার করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতিদিন চাঁদা তুলছেন মোহাম্মদ হাফিজ নামের একজন চাঁদাবাজ। ও তার অপর সঙ্গী সাইফুল এই দুজনের নেতৃত্বে মানিকগঞ্জ শহরে চাঁদাবাজি চলছে দেখার যেন কেউ নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছেন নিরব
এই টাকা পয়সা মাসুদ নামের একনেতা প্রত্যেক গাড়ি থেকে ২০ টাকা করে নিয়ে নেয় তাতে গুলিস্তান থেকে পাটুরিয়া ঘাট এবং পশ্চিমবঙ্গের যত গাড়ি আছে এর কাছ থেকেও টাকা উত্তোলন করে
। আর এর মূল হোতা মোঃ হাফিজ, সাইফুল, তাহলে প্রতিদিন গরে 2 হাজার গাড়ি যাতায়াত করলে ২০ টাকা করে হিসাব করলে তাতে ৪০ হাজার টাকা হয়।
আর এই টাকাগুলো ভাগ বাটারা করে খেয়ে ফেলে । শুধু তাই নয় মোঃ হাফিজ ও সাইফুল আশেপাশের দোকানগুলো থেকে চাঁদা উত্তোলন করেন আর এই টাকাগুলো তাদের পকেটেই যায়।
মালিকদের সাথে কথা বললে জানা যায় তারা অসহায় এবং নির্যাতিত মোহাম্মদ হাফিজ, ও সাইফুল এর কাছে তাদের প্রতিবাদ করলে গাড়ি রোটে চলবে না বলে হুমকি প্রদান করেন। এমনটি অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
সরজমিনে আমরা তদন্ত গেলে সাইফুল হাফিজ তাদের নেতৃত্বে টাকা উত্তোলনকারী মাসুদ সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরণ করে এবং আমাদেরকে বলে একটি সিগারেট খেয়ে চলে যান এখানে মাথা ঘামানোর দরকার নেই আর বেশি বুঝলে কিন্তু আপনাদের অবস্থা খারাপ করে দিব এই বলে হুমকি প্রদান করেন চাঁদাবাজ মাসুদ। মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের আশেপাশে আসবেন না আমরা যা ইচ্ছা তাই করব।
অথচ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সারাক্ষণ মানিকগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে বিচরণ করেন তাদের চোখ চাঁদাবাজের দিকে পড়ে না এর কারণ কি
অতি দ্রুত মানিকগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। সাইফুল ও মোঃ হাফিজ কে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করলে মানিকগঞ্জ চাঁদা মুক্ত একটি বাস স্ট্যান্ড হিসাবে পরিচিতি লাভ করবে।